জয়পুরহাটে নেসকো কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়া গ্রাহকরা কার্যালয় ঘেরাও করেন। এ...
জয়পুরহাটে নেসকো কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়া গ্রাহকরা কার্যালয় ঘেরাও করেন। এতে বিক্ষুব্ধ বিদ্যুতের গ্রাহকদের সঙ্গে নেসকো কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীর হট্টগোল হয়েছে। রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রাহক ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নেসকোর আওতায় জেলা শহরে প্রায় ৩৪ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ২৮ হাজার গ্রাহকের প্রিপেইড মিটার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ঈদের আগে প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জ করা হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা অনেক গ্রাহকের যোগ হয়নি। পরে গ্রাহকরা নেসকো অফিসে এলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান না করে ৬ এপ্রিল টোকেন নিয়ে অফিসে আসতে বলেন। অনেক গ্রাহকের মিটারের টাকা শেষ হওয়ায় রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। গ্রাহকরা রিচার্জ করলে রিচার্জ হয় না। এতে তারা ভোগান্তিতে পড়েন। একপর্যায়ে দুপুরে বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা নেসকো কার্যালয়ে জড়ো হন। সেখানে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে গ্রাহকদের হট্টগোল বাধে। এসময় নেসকো কার্যালয়ের কিছু জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
হাউজ বিল্ডিং এলাকার গ্রাহক এসএম উজ্জ্বল বলেন, সকালে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর আর রিচার্জ হচ্ছে না। এ সমস্যার বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিস কোনো ম্যাসেজও দেয়নি। এটি তো গ্রাহকদের জন্য হয়রানি। একই অভিযোগ অন্য গ্রাহকদেরও।
জয়পুরহাট নেসকো কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সূত্রধর বলেন, সফটওয়্যারের টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে। এটি সমাধান কর দিলে সমস্যা দূর হবে। এরপর যারা রিচার্জ করেছেন তাদের মিটারে টাকা ঢুকবে এবং যারা রিচার্জ করতে পারছেন না তারাও রিচার্জ করতে পারবেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিক বলেন, আমি নেসকো অফিসে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। ওই দপ্তরের কোনো জিনিস ভাঙচুর বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি-না তা কর্তৃপক্ষ জানায়নি, অভিযোগও করেননি।
চম্পক কুমার।
কোন মন্তব্য নেই