দিনাজপুরের বিরামপুরে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ও উপজেলা পরিষদের কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ জা...
দিনাজপুরের বিরামপুরে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ও উপজেলা পরিষদের কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌর সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল নামের এক নেতার বিরুদ্ধে। এঘটনায় তিনজন কর্মচারী আহত হয়ে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের মুক্তমঞ্চ এলাকায় পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও নুজহাত তাসনীম আওন, বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিঞা মোঃ শফিকুল আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল।
আহতরা হলেন, উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক এমদাদুল হক, আবু হোসেন, ইউএনও কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুল ইসলাম ওরফে রনি। এদের মধ্যে এমদাদুল হক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিষষটি নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার ইউএনও নুজহাত তাসনীম আওন।
জানা যায়, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের ভেতর মুক্তমঞ্চে চলছিল। অনুষ্ঠানের ফাঁকে উপজেলা পরিষদ ও ইউএনও'র কয়েকজন কর্মচারী আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য পান্তা, মাছ , ভর্তা ও পানি বিতরণ করছিলেন। এ সময়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌর সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল ও তার সহযোগীরা খাবার নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু করে। এক পর্যায়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনেই বেধড়ক মারপিট করে তিনজনকে আহত করেন।
ইউএনও'র কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুল ইসলাম রনি বলেন, আজকে সুন্দর পরিবেশে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। এর ফাঁকে অতিথিদের জন্য পান্তা উৎসব শুরু করার জন্য আমরা কয়েকজন নিয়োজিত ছিলাম। আমাদের কাজের ফাঁকে বিএনপির পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল নিজেই খাবার নিতে শুরু করে। আমরা বাঁধা দিলে তারা আমাদের পিটিয়ে আহত করে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল বলেন, ভাই আমি রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনি। একটা চড় মেরেছী। খাবার বিতরণের অনিয়ম ও সিনিয়র নেতাদের অপমান করায় এমনটি হয়েছে। তবে আমার ভুল হয়েছে।
বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল বলেন, এমন একটি অনুষ্ঠানে এই আচরণ করা মোটেও ঠিক হয়নি। এমন আচরণের পর আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা উপজেলা বিএনপির দায়িত্বে রয়েছি আর ওরা পৌর কমিটির। তার পরেও নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিঞা মোঃ শফিকুল আলম মামুন বলেন, আপনি সামনাসামনি আসেন, মোবাইলে নয়।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মমতাজুল হক জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হাজার লোকের আয়োজন ছিল। এমন ঘটনা ঠিক হয়নি। আহত তিন কর্মচারী থানায় অভিযোগ দেওয়া কথা বলা হয়েছে।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।
কোন মন্তব্য নেই