Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

হিলিতে ভুয়া তালিকা করে ভিজিএফ'র চাল আত্মসাতের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

দিনাজপুরের হিলিতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থদের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ'র চাল বিতরণে অনিয়ম করে চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ১নং খট্রা-মাধবপা...

দিনাজপুরের হিলিতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থদের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ'র চাল বিতরণে অনিয়ম করে চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ১নং খট্রা-মাধবপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও কয়েকজন ইউপি সদস্যও জড়িত আছে বলে জানা যায়। প্রায় ১৮০০ জনের নামে-বেনামে ভূয়া তালিকা করে ১৮ মেট্রিকটন চাল আত্মসাত করেন তারা। ঐতালিকায় মৃত ব্যক্তিরও নাম পাওয়া গেছে। 

গেলো পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার ১ নং খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের ৪ হাজার ১৬৯ জনের ভিজিএফ চালের তালিকা করেন প্যানেল চেয়ারম্যান ছদরুল শামিম স্বপন। চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তালিকা প্রনয়নে সুকৌশল আবলম্ব করেন তিনি। তালিকায় একজনের নাম একাধিক বার ব্যবহার করা হয়েছে। এক ওয়ার্ডের তালিকাভূক্তদের অন্য ওয়ার্ডের তালিকায় তাদের নাম ওঠানো হয়েছে। এমনকি ওই তালিকায় মৃত ব্যক্তিরও নাম পাওয়া গেছে। চাল আত্মসাতের সাথে জড়িত রয়েছে তিন জন ইউপি সদস্য। ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহানুর রহমান, ৭নং ইউপি সদস্য আবুল কাশেম ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্য জাহঙ্গীর আলম। এ ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন বঞ্চিত সুবিধাভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ইউনিয়নের মংলা বাজারের বাসিন্দা তাহাজ্জত আলী বলেন, আমার প্রতিবেশী মৃত রবিউল ইসলামের নাম ভিজিএফ তালিকায় রয়েছে। কিন্তু  তাহাজ্জদ আলী গত ৩ বছর আগে মারা গেছে। এক বছর পূর্বে তার স্ত্রীর অন্যত্র বিয়েও হয়েছে। চেয়ারম্যান চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভিজিএফের তালিকায় এই মৃত ব্যক্তির নাম তালিকাভুক্ত করেছে।  

অভিযোগকারী মাধবপাড়া গ্রামের কাশেম আলীর স্ত্রী বেগম জানান, ভিজিএফএর তালিকায় তার নামের সিরিয়াল ২৩৭৬। অথচ কয়েকবার চেয়ারম্যানের নিকট ভিজিএফ চালের জন্য গেলে তাঁর নাম তালিকায় নেই বলে ফিরিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, শুধু তাকে নয় এরকম আরও অনেক মেয়ে মানুষকে চাল না দিয়ে ফিরে দিয়েছেন। 

অভিযোগকারী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, তার মাস্টার রোলের সিরিয়াল নাম্বার ২১০। তালিকায় তার নাম নেই বলে তাকেও ওই দিন চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা গরীব মানুষ ঈদের আগে ভিজিএফের চালের অপেক্ষায় থাকি। সেই চাল যদি চেয়ারম্যান  খেয়ে ফেলে তাহলে তো গরীবের তো আর বাঁচার পথ নাই। সরকারের উচিত গরীবের চাল মেরে খাওয়া চেয়ারম্যানকে শাস্তি দেওয়া। 

লিখিত অভিযোগকারী সাইমুমুর রহমান ডলার জানান, ১নং ওয়ার্ডের ৮৬ জন, ২নং ওয়ার্ডের ৭৫ জন, ৩নং ওয়ার্ডের ৬৩ জন, ৪নং ওয়ার্ডের ৫৬ জন, ৫নং ওয়ার্ডের ১১১ জন, ৬নং ওয়ার্ডের ১৩১ জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৯২ জন, ৮নং ওয়ার্ডের ১০৯ জন ও ৯নং ওয়ার্ডের ৮৩ জনের মোট ৮০৬ জনের নাম অন্য ওয়ার্ডের মাস্টার সিরিয়ালে একাধিকবার ব্যাবহার করা হয়েছে। এবং ওই নামের বিপরীতে বরদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ করেছে চেয়ারম্যান ও তার লোকেরা। 

হাকিমপুর উপজেলার ১নং খট্রা-মাধবপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপন বলেন, ভিজিএফ এর চাল বিতরণে সময় ট্যাগ অফিসার সহ সব ওয়ার্ডের মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন। আমি সব চাল সুষ্ঠু ভাবে বিতরণ করেছি।

এবিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন, ১নং খট্রা-মাধবপাড়া ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ,র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। পিআইও'কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।

 

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place