Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

কালাইয়ে জরুরী বিভাগে মেডিকেল অফিসার না থাকায় ক্ষোভ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসারদের জরুরী বিভাগের চিকিৎসা সেবা চলছে ডক্টরস রুমে বসে। সোমবার সকাল ৮ থেকে ১২ পর্যন্...

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসারদের জরুরী বিভাগের চিকিৎসা সেবা চলছে ডক্টরস রুমে বসে। সোমবার সকাল ৮ থেকে ১২ পর্যন্ত জরুরী বিভাগে অন্যান্য সকল সেবা দেওয়া হলেও রুগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য কোন মেডিকেল অফিসার দেখতে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে দুই-একজনকে রুগীকে ডক্টরস রুম থেকে জরুরী বিভাগে এসে চিকিৎসা সেবা দিলেও অধিকাংশ রুগীরা মেডিকেল অফিসারকে না পাওয়ায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে অফিস সময়ে জরুরী বিভাগে মেডিকেল অফিসার না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রুগীরা।

সকাল ৮ টার আগে ডিউটিরত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাহফুজ আলম এবং সকালে ডাঃ মানসুরা মরিয়ম তারা দু'জনই ডক্টরস রুমে বসে জরুরী বিভাগের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। 

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রুগী  বাঘইল গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন আঘাতে আমার হাত ফুলে গেছে ভেঙে যাওয়ার আশংকায় জরুরী বিভাগে আসছি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ওখানে ডাক্তারকে না পেয়ে পাশে ডক্টরস রুমে গিয়ে চিকিৎসা নেই। ওখান থেকেই সকল রুগী দেখছেন তিনি। 

পৌরসভার মুলগ্রামের বাসিন্দা হাসনা হেনা বলেন আমি বয়স্ক মানুষ হঠাৎ আমার হাত ও পা অবস হয়ে যাচ্ছে ভর্তি হতে হবে কিনা এমন অবস্থায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসে দেখি কোন ডাক্তার নেই। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর মেডিকেল অফিসারকে দেখানোর কথা বললে একজন স্টাফ বলেন পাশের রুমে আছে ওখানে যান। ওই রুমে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি।

রোয়াইর গ্রামের আলিফ বলেন, আমার বোন শাহরিয়া আক্তারের হার্টের সমস্যায় অজ্ঞান হয়ে পরলে হাসাপাতালে নিয়ে আসি সকাল সাড়ে ১১টায়। জরুরী বিভাগে মেডিকেল অফিসার না থাকায় পাশে ডক্টরস রুম থেকে ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা শেষে আবার ডক্টরস রুমে চলে যান। সকল রুগীরা ওই রুমেই যাচ্ছে। 

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুব উল আলম বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে ফ্যান নষ্ট হওয়ায় ডক্টরস রুমে বসে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন অফিসাররা। ফ্যান ঠিক করতে এত সময় লাগার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন সাথে সাথে তো ঠিক করা যায়না, সরকারি কাজ একটা প্রসেসের মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়। ইলেকট্রিশিয়ানকে বলা হয়েছে খুব শীঘ্রই ফ্যানটি ঠিক করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আল মামুন বলেন, অফিস সময়ে জরুরী বিভাগ ছেড়ে ডক্টরস রুমে বসে রুগী দেখার কোন সুযোগ নেই। কেন এমন হলো আমি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিবো।

আব্দুন নূর নাহিদ।


 

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place