Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

কালাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারী অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতকারী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীর অপসারণের দাবিতে জয়পুরহাটের কালাইয়ে মানববন্ধন কর্...

দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতকারী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীর অপসারণের দাবিতে জয়পুরহাটের কালাইয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে জেলার জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কালাই উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে আঁওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সচেতন অভিভাবকের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু ওই গ্রামবাসীও এ  মানববন্ধনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে একাত্মতা প্রকাশ করেন। 

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে আঁওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহারুল আলম এবং  অফিস সহকারী মামুনুর রশিদের অবসারণসহ তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বক্তব্য দেন, হারুনুর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম, মো. জনি প্রমুখ। 

এ সময় বক্তারা বলেন, ' আঁওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা তাঁর প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবি শাহারুল আলম এবং মামুনুর রশিদের সাথে যোগসাজশ করে  এই প্রতিষ্ঠানের অন্তত ৫১ জনের উপবৃত্তির টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করেছেন। অভিযুক্তরা শিক্ষার্থীদের নাম ঠিক রেখে, তাদের (বিকাশ একাউন্টযুক্ত)  মোবাইলের ঘরে নিজেদের পরিচিত জনদের মোবাইল নম্বর সুকৌশলে ব্যবহার করেছেন। এভাবেই তাঁরা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের  উপবৃত্তির লক্ষাধিক  টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।'

এ সময় তাঁরা আরও অভিযোগ তুলে জানান, আঁওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহারুল আলম অসৎ উপায়ে এবং প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে রাতারাতি শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন। তাঁর উপার্জনের সব টাকা অবৈধ। গোলাম মোস্তফা ও শাহারুল আলম আয়া পদে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রীকে চাকরি দিতে চেয়ে  কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করেছেন। তাঁকে চাকরি ও দেননি টাকাও ফেরত দেননি তাঁরা।  এখন  টাকা চাইলে উল্টো বিভিন্ন হুমকি ও মামলার ভয়ভীতি দেখছেন। এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির আওতায় আনা না হলে, এদের খপ্পরে পড়ে আরো অনেকে সর্বস্বান্ত হবেন।  

মানববন্ধন শেষে ভুক্তভোগীরা কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে আঁওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, ইতোপূর্বে এ বিষয়ে একটি তদন্তে তাঁকে দোষী করে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ফেরৎ দিতে বলা হয়। কিন্তু যেহেতু তিনি টাকা  আত্মসাৎ করেননি। তাই টাকা পরিশোধ না করে, বিষয়টি পুন তদন্তের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল করেছেন। 

এ বিষয়ে ইউএনও শামিমা আক্তার জাহান জানান, আঁওড়া স্কুলের দরিদ্র ৪৭ জন শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনাটি ইতোপূর্বে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্ত পক্ষকে আত্মসাৎ কৃত টাকা ফেরতও দিতে বলা হয়েছে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। কিন্তু কেন ওই টাকাগুলো ফেরত দেয়া হয়নি, সে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। তারপরও আজকে আবারো যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, সেগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

মো. আতাউর রহমান।

 

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place