জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য গাজিউল ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর নলকূপ (গনকূ) জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ বি...
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য গাজিউল ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর নলকূপ (গনকূ) জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই ইউনিয়নের বাখড়া উত্তরপাড়া গ্রামের আক্কাছ আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গাজিউল ইসলাম উপজেলার বাখড়া গ্রামের মণ্ডলপাড়ার উজির উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। আর আক্কাছ আলী একই গ্রামের মৃত বাদেশ আলী সরদারের ছেলে।
সরেজমিন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এবং লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা যেদিন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান- সেদিন রাতেই বিএনপির রাজনৈতিক প্রভাবে আক্কাছ আলীর গনকূটি জোরপূর্বক দখলে নেন গাজিউল ইসলাম। আক্কাছ আলীর পিতা ১৯৯৮ সলে বিএডিসির কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে গনকূটি মালিকানা লাভ করেন। সেই থেকেই গনকূটি আক্কাছ আলীদেরই দখলে। গনকূর বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার বর্তমানেও আক্কাছ আলীর নামে।
গাজিউল ইসলাম গনকূটি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে সেচ পরিচালনা করছেন, কিন্তু বিদ্যুৎ বিল শোধ করছেননা। এতে করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ ফসল হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ওই সেচ স্কিম এলাকার কৃষকরা।
এ বিষয়ে আক্কাছ আলী বলেন, যেদিন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সেদিন রাতেই বিএনপি নেতা গাজিউল ইসলাম দলীয় প্রভাবে আমার গনকূটি জোরপূর্বক দখলে নিয়েছে। তিনি গনকূটির সেচ কাজ পরিচালনা করছেন, কিন্তু বিদ্যুৎ বিল শোধ করছেননা। এতে একদিকে আমি আছি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায়। অন্যদিকে স্কীমের ফসল হানির শঙ্কায় আছেন কৃষকরা।
আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে গাজিউল ইসলাম বলেন, আমি ওই গনকূর ১০ জন শেয়ারের মধ্যে একজনের কাছ থেকে একটি অংশ ক্রয় করে মালিকানার দাবিদার। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে বাকী ৯ জন অংশীদার আমাকে আমার অংশ থেকে বঞ্চিত করে রাখে। এখন আইনগত ভাবে আমি গনকূটির সেচ কাজ পরিচালনা করছি।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ' এ বিষয়ে একটি লিখত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই