জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় গতকাল ৮ অক্টোবর মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদসহ হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে জয়পুরহাটের কালাইয়ে অবস্থান কর্মস...
জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় গতকাল ৮ অক্টোবর মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদসহ হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে জয়পুরহাটের কালাইয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলার তেলিহার কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের ভুক্তভোগী সদস্যরা। মঙ্গলবার বিকেল সাড় তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত কালাই উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘন্টা ব্যাপী চলে এ অবস্থান কর্মসূচি। এরপর তাঁরা এ বিষয়টি অবহিত করার জন্য ওই সমিতির সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যদের স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জমা দেন।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন তেলিহার কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক তানজির আহমেদ সাকিব, সদস্য ফরহাদ হোসেন, জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।
ওই স্মারকলিপি এবং বক্তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে জানা যায়, কালাই উপজেলার তেলিহার কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ৯০ জন সদস্য বিগত ২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বনায়ন কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ২৬৫ টি গাছ রোপনসহ পরিচর্যা করেন। এরই মধ্যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ফলে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে, যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া মেনে গত ২ অক্টোবর প্রকাশ্য ডাকের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। প্রকাশ্য ডাকে অংশ নেয় ৭ জন দরদাতা। এঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা ডাক দিয়ে গাছগুলো ক্রয় করেন মো. রুহুল আমিন। এরপর গত ৪ অক্টোবর গাছগুলো কাটতে শুরু করেন রুহুল আমিনের লোকজন। তখন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সাথে যোগসাজশ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গত ৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রচার করে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় কালাই উপজেলা পরিষদ মিলন আয়তনে ওই সমিতির ৯০ জন সদস্যদের সাথে মুক্ত আলোচনায় বসেন কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান।
মুক্ত আলোচনা শেষে কালাই উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি প্রদানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে সমিতির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাঁকে জানিয়েই ১৫ লাখ টাকায় গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। যেহেতু এ বিষয়ে সমিতির সকল সদস্য ঐক্য মতে আছে, তাই তাঁরও তাতে কোনো দ্বিমত নেই।
উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাদশা মিয়া জানান, গাছগুলো ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে সকল সদস্য ইউএনও সাথে মুক্ত আলোচনায় বলেছেন। কেউ দ্বিমত করেননি। তাই তাঁরও এর বাইরে যাওয়ার কেন সুযোগ নেই।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান জানান, চুক্তিপত্র অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ ও তেলিহার কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সদস্যরা এ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিবেন। গাছগুলো কাটতে তিনি মৌখিক অনুমতি দিলেও বর্তমানে গাছ কাটা বন্ধ আছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে। তাঁর নির্দেশ অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মো. আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই