Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

কালাইয়ে নকল ধান বীজ কিনে স্বর্বশান্ত কৃষক

জয়পুরহাটের কালাইয়ে নকল ধান বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছেন কৃষকরা। নিশ্চিন্তা বাজারের ডিলার আশিক বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আলীমের নিকট থেক...

জয়পুরহাটের কালাইয়ে নকল ধান বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছেন কৃষকরা। নিশ্চিন্তা বাজারের ডিলার আশিক বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আলীমের নিকট থেকে বীজ ধান কিনে প্রতারিত হয়েছেন তারা। প্রায় ৫১ বিঘা জমিতে নয়ন সীডের সুগন্ধী হাইব্রিড জাতের ধান রোপন করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষি কৃর্মকর্তার নিকট ধানের ক্ষতিপূরণ দাবি করে কয়েকজন কৃষক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতাও খুঁজে পেয়েছে।

জানা গেছে, রোপা আমন মৌসুমে ভালো ফলনের আশায় ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজারের আশিক বীজ ভান্ডার থেকে নয়ন সীডের সুগন্ধি হাইব্রিড জাতের ধান বীজ ক্রয় করেন কালাই উপজেলার মুড়াইল কয়েকজন কৃষক। জমিতে ধান রোপন করে পরিচর্যা করতে থাকেন তারা। ধানের ফলনের আগমুহূর্তে প্রায় ৫১ বিঘা জমির ধানের কুশিতে ভিন্নতা খুঁজে পায় কৃষকরা। এমতাবস্থায় কালাই কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে সরেজমিনে জমি পরিদর্শন করে ভেজাল বীজের কারন হিসেবে নির্ণয় করেন কৃষি বিভাগ। ভেজাল বীজের কারনে ১২ জন কৃষকের মোট ৫১ বিঘা জমিতে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে দশ লাখ টাকা। 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নুর মোহাম্মদ, এমদাদুল, বকুলসহ অনেকে বলেন, নিশিন্তা বাজারের আশিক বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আলীমের নিকট থেকে ৬০ প্যাকেট নয়ন সীডের সুগন্ধি হাইব্রিড বীজ ধান ক্রয় করেছি। তিনি অতি লাভের আশায় ভেজাল বীজ দিয়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। আমরা ক্ষতিপূরণ সহ তার লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

বীজ ডিলার আব্দুল আলীম বলেন, সমস্যা হতেই পারে, বীজ আমি তৈরি করিনা, এটা কোম্পানি থেকে আসে। এসব বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষকসহ আমাদের ডেকেছেন। কৃষি অফিসারের সাথে বসেছিলাম। আলোচনা হয়েছে। দু'পক্ষ মিলে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।

কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় জানান, কালাইয়ের কয়েকজন কৃষকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধানের জমিতে গিয়েছিলাম।কৃষকরা পাশ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজারের আশিক বীজ ভান্ডার থেকে নয়ন সীডের সুগন্ধি হাইব্রিড জাতের বীজ ধান কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভেজাল বীজের কারনে ফলনে বিপর্যয় দেখা গেছে। একই গোছার ভিন্ন ভিন্ন কুশিতে ধানের ভিন্ন ভিন্ন স্টেজ লক্ষ্য করা যায়। ভেজাল বীজের কারনে ১২ জন কৃষকের প্রায় ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যেহেতু বীজ ডিলার আমার উপজেলার আওতায় নয়, সেহেতু বিষয়টি জেলার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হবে।

মো: চঞ্চল বাবু।

 

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place