দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর হিলি জোনাল অফিসের ভুতুরে বিলে দিশেহারা গ্রাহকেরা। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেয়েও কয়েকগুণ বেশি বিল দিতে হচ...
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর হিলি জোনাল অফিসের ভুতুরে বিলে দিশেহারা গ্রাহকেরা। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেয়েও কয়েকগুণ বেশি বিল দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। বিলের কাগজ ও মিটারের রিডিংসহ হিলি এজিএম এর সাথে যোগাযোগ করতে বললেন দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম।
হিলি জোনাল অফিসে সাত মেগাওয়াট বিদ্যুৎতের চাহিদা থাকলেও বরাদ্দ পাচ্ছে আড়াই মেগাওয়াট। দিনে ৮ থেকে ১০ বার লোডশেডিং। ঠিক মতো বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন মিল-কারখানা, অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম। বেশি বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
তারপরও মাস গেলে অতিরিক্ত বিল গুণতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এসব অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ গ্রাহকেরা। অতিরিক্ত বিলের কাগজ হাতে নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে ঘুরছেন তারা।
শাফি হোসেন জনি গ্রাহক বলেন, গত মাসে আমার ৭০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছিলো। এই মাসে আসছে ৪০০০ টাকা। এভাবে বিল বেশি আসলো আমার মতো গরীব মানুষ কিভাবে চলবে?
উপজেলার বোয়ালদার গ্রামের ইসাহাক বলেন, আমার বাড়িতে একটা ফ্রিজ আর দুইটা ফ্যান চলে। আগে বিল আসতো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। বর্তমান ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা বিল আসছে।
ছাতনী গ্রামের মাজেদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে আমার ২০০ টাকা বিল আসতো। দুই মাস থেকে ৭০০ টাকার বেশি বিল আসতেছে। আমি এসব কারণে চলতি মাসের বিল পরিশোধ করিনি। আসল ঘটনা জানার পর বিল পরিশোধ করবো।
দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের গ্রাহক মুন্না হোসেন বলেন, দুই মাস আগে আমার মিটারে বিল আসতো ২০০০ টাকা। এই মাসে বিল আসছে ৪৫০০ টাকা। আবার আমরা ৫০০০ টাকা বিল বকেয়া ছিলো। এখন দেখি ঐবকেয়া বিল ১৭০০০ টাকা হয়ে আছে।
এবিষয়ে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম বিপুল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বিল তো অতিরিক্ত আসার কথা না। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে গ্রাহকদের সেই পরিমাণ বিল পরিশোধ করবে। অতিরিক্ত বিল কেন আসছে, এবিষয়ে বিলের কাগজ ও মিটার রিডিংসহ হিলির এজিএম এর সাথে যোগাযোগ করতে বললেন তিনি।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।
কোন মন্তব্য নেই