পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তাদের উপাসনালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের খবর আসতে থাকে সামাজিক য...
পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তাদের উপাসনালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের খবর আসতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এমন খবরে তৎপর হয়ে উঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেতলাল উপজেলার সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ওইদিন সন্ধ্যা থেকেই সরকারি- বেসরকারি স্থাপনা ও হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘর এবং মন্দির রক্ষায় পাহারা ও টহলের ব্যবস্থা এবং তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। যার ফলে এখন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলার বড়তারা গ্রাম ও এর আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরগুলোতে টহল দেন তারা।
এর নেতৃত্ব দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও উজ্জ্বল নক্ষত্র ফাউন্ডেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আরাফাত হোসেন। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহেল রানা, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রুহুল আমিন রাজু, দিনাজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ধনঞ্জয় কুমার, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রাবন রহমান, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রনিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক, সাধারণ শিক্ষার্থী ও উজ্জ্বল নক্ষত্র ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার কিছু কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি, কার্যালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কারও আহত হওয়ার কথা জানা যায়নি।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছাত্র, স্বেচ্ছাসেবী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের হস্তক্ষেপে সরকারি কোন স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেনি। দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় ক্ষেতলাল যথেষ্ট শান্ত ছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, এদেশ আমাদের, এদেশের প্রতিটি সম্পদ আমাদের। দেশের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের সকলের। আমরা রক্ত দিয়ে শৈরাচার হাসিনার পতন করে দেশকে আবারও স্বাধীন করেছি। এ স্বাধীনতা আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। কোন অপশক্তি যেন কোন ভাবেই আমাদের দেশের সম্পদ নষ্ট করতে না পারে বা আমাদের হিন্দু সম্প্রদায় বা সংখ্যালঘু কোন মানুষের উপর নির্যাতন জুলুম করতে না পারে সেজন্য আমরা টহল ও পাহারা দিচ্ছি। দেশ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মো. আমানুল্লাহ আমান।
কোন মন্তব্য নেই