জয়পুরহাটের কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বকুল গত ৬ আগষ্ট থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও নি...
সরেজমিনে (১৪ আগষ্ট) বুধবার সকালে কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা যায়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে না আসার কারন জানতে চাইলে শিক্ষকরা জানান, প্রায় ১৩ বছর ধরে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় বিএড জাল সনদপত্র ব্যবহার করে এ চাকরি করছেন। সরকার পতন হওয়ার কারনে বর্তমান সময়ে ভয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকছেন না তিনি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তারা জানায়, স্যারকে বেশ কয়েকদিন ধরে স্কুলে আসতে দেখেননি তারা।
কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সুজাউল ইসলাম বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বকুল গত ৬ আগষ্ট থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছেন। গতকাল ১৩ই আগষ্ট তিনি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হাজিরা খাতা নিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়ি মাত্রাই যেতে বলেন। তার নির্দেশ মতে দুপুরে হাজিরা খাতা নিয়ে গেলে আগাম ১৪ তারিখ পর্যন্ত স্বাক্ষর করেন তিনি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিদ্যুৎ বলেন, আমরা তাকে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত পেয়েছি। এমন বেআইনি কাজ একটি বিদ্যালয়ের জন্য দুঃখজনক।
কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বকুল বলেন, বাড়িতে বসে থেকে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ করছি। হাজিরা খাতায়ও স্বাক্ষর করেছি। এখানে আইনের কোন ব্যত্যয় হবে না।
রাজশাহী বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ডা. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী জানান , আগাম সাক্ষর তো দুরের কথা ,তিনি বাড়িতে বসে থেকে হাজিরা খাতায় সাক্ষর করতে পারেন না। এ বিষয়ে কেও অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এটিএম সেলিম সরোয়ার।
কোন মন্তব্য নেই