Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

ক্ষেতলালে সেচ মালিকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ, দিশেহারা কৃষক

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে গভীর নলকূপের মালিক বাবলুর বিরুদ্ধে সেচ কমিটির নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকরা অতিরিক্...

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে গভীর নলকূপের মালিক বাবলুর বিরুদ্ধে সেচ কমিটির নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকরা অতিরিক্ত ও অগ্রিম টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাদের জমিতে সেচ দিচ্ছেনা অভিযুক্ত বাবলু। যার ফলে জমিতে চাষ দিতে পারছেনা কৃষকরা। 

প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা৷   

লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের হোপপীর হাট মৌজার ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত গভীর নলকূপের মালিক বাবলু হোসেন আলু সেচের জন্য প্রতি ৩৩ শতকে ১৪০০ টাকা ও ইরি বোরো ধান সেচের জন্য শতকে ২০০০ হাজার টাকাসহ ৩৩ শতকে মোট ৩৪০০ টাকা আদায় করছেন। এ ছাড়াও অগ্রিম সব টাকা পরিশোধ না করলে গভীর নলকূপ মালিক বাবুল কোন জমিতে সেচ দিচ্ছেন না। ফলে জমিতে চাষ দিতে পারছেন না ভুক্তভোগী কৃষকরা। অথচ পার্শ্ববর্তী গভীর নলকূপ মালিকরা ৩৩ শতকে আলু সেচ ১ হাজার টাকা এবং ইরি/বোরো দেড় হাজার টাকাসহ মোট আড়াই হাজার টাকা নিচ্ছে।

উপজেলা সেচ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত উভয় ধরনের গভীর নলকূপের ক্ষেত্রে প্রতি ৩৩ শতকে আলু সেচ ৮০০ টাকা, ইরি/বোরো ধান চাষে উঁচু জমির জন্য ১ হাজার ৪০০ টাকা ও নিচু জমির জন্য ১ হাজার ৩০০ টাকা সেচ খরচ নির্ধারণ করা হয়। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে বড়তারা ইউনিয়নকে নিচু এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেচ কমিটির নির্ধারিত মূল্যে গভীর নলকূপ মালিকদের জানানোসহ এলাকায় অবগত করা হয়েছে।

উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের হোপপীর হাট এলাকার কৃষক আব্দুল মোতালেব হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, হারুন উর রশিদ, সোহেল রানা, শাজ্জাদুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিনসহ ২০-২৫ জন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, ওই গ্রামের বাবলুর ব্যক্তি মালিকানাধীন পরিচালিত গভীর নলকূপের বাবলু হোসেন কৃষকদের কাছ থেকে বিঘাপ্রতি আলু ও ইরি/বোরো সহ মোট ৩ হাজার ৪০০ টাকা দাবি করেন। কৃষকেরা উপজেলা সেচ কমিটির নির্ধারিত রেট অনুযায়ী টাকা দিতে চাইলে বাবুল তা নিতে অস্বীকার করে এবং অগ্রিম টাকা চায়। কৃষকরা তা দিতে না পারায় জমিতে সেচ পাচ্ছেন না তারা।

অভিযুক্ত গভীর নলকূপ মালিক বাবলু হোসেন অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে  বলেন, দ্রব্য মূল্য বেড়ে যাওয়া এবং আমার নলকূপের ট্যান্সফর্মার চুরি হওয়ায় বাধ্য হয়ে বেশি টাকা নিচ্ছি। অন্যরাও নিচ্ছে আমিও নিচ্ছি।

জানতে চাইলে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আক্কেলপুর জোনের (ক্ষেতলালের অতিরিক্ত দা:প্রা) সহকারী প্রকৌশলী মুনছুর রহমান সরদার বলেন, সেচ কমিটির কাছে সেচের অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। আমাদের কাছেও তার একটা কপি এসেছে। আমরা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখব। যদি বেশি টাকা নেয় আমরা প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেব।

উপজেলা উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ মোস্তাফিজার রহমান  বলেন, এ বছর উপজেলায় ১০ হাজার ৫১৩ হেক্টর জমিতে ইরি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলায় মোট গভীর নলকূপ রয়েছে ৩৬৫ টি। এর মধ্যে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পরিচালিত ৫৯টি ও বিএডিসি পরিচালিত ৫ টি। বাকি ৩০৩টি ব্যক্তিমালিকানাধীন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফতাবুজ্জামান আল ইমরান  বলেন, কৃষকদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেচ কমিটিকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোঃ আমানুল্লাহ আমান।

 

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place