Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

হিলিতে ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহতদের স্বরনে দোয়া অনুষ্ঠিত

ভুলিনাই কভু ভুলবনা এই কথা স্বরনে দিনাজপুরের হিলিতে ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহতের ম্মরণে আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত...

ভুলিনাই কভু ভুলবনা এই কথা স্বরনে দিনাজপুরের হিলিতে ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহতের ম্মরণে আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল পাঁচটায় হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের আয়োজনে হিলি রেল স্টেশন চত্বরে এই নিহতদের স্মরণে আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দূর্ঘটনায় নিহতের স্বরনে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলনা মোঃ মোস্তাক হোসেন।

এসময় হাকিমপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার, সহকারি স্টেশন মাস্টার আবু সাইদ, হাকিমপুর প্রেসক্লবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলু, সমাজ সেবক জাবেদ হোসেন রাসেল, একতা ক্লাবের সদস্য আনোয়ার হোসেন, মাজারুল ইসলাম রাজসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

দূর্ঘটনার দিনে ট্রেনে থাকা যাত্রী আব্দুল হাফিজ বলেন,১৯৯৫ সালে ১৩ জানুয়ারি আমরা ফুলবাড়ি স্টেশন হতে সীমান্ত এক্সপ্রেসে ট্রেনে উঠি। এক পর্যায় হিলি স্টেশনের কাছাকাছি আমাদের ট্রেনটা চলে আসলে আমরা জানতে পারি এক নম্বরে গোয়ালন্দ ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। তা এক থেকে দুই মিনিট পরে মর্মান্তিক ট্রেন দূর্ঘটনাটি ঘটে। আমার সাথে থাকা অনেকে মৃত্যু বরণ করেন। ওই সময় আমার মাথায় আঘাত পাই। আমাকে এক পর্যায়ে মাথায় বেশকিছু সেলাই দিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি হাকিমপুর হাসপাতালের মেঝেতে শত শত লাশ পরে থাকতে দেখেছি। শুধু মাত্র কর্তব্যরত  মাস্টারের কারণে হিলিতে এতো বড় দূর্ঘটনা ঘটে। যার কারণে এখনো অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে অসহায় জীবনযাপন করছেন।

উল্লেখ্য ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ছিল শুক্রবার। রাত সোয়া ৯টায় রেল ক্রসিংয়ের উদ্দেশ্যে স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেন। সে সময় দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের অবহেলার কারণে, একই লাইনে ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭৪৮ নম্বর আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস। মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে দু’টি ট্রেনের। 

এসময় দাঁড়িয়ে থাকা লোকাল ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রেলওয়ে একতা ক্লাবের সদস্যসহ স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের উদ্ধার করে। সরকারি হিসাবে ঘটনাস্থলেই মারা যান ২৭ জন, আহত হন শতাধিক।

মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।

 

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place