গত দুই সপ্তাহ ধরে উত্তরের জেলা জয়পুরহাটের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে...
গত দুই সপ্তাহ ধরে উত্তরের জেলা জয়পুরহাটের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শীতের প্রভাবে শিশু বৃদ্ধসহ খেটে মানুষরা শীতকালীন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেয় জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা অফিস। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ক্ষেতলালে খোলা রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বলছে তাদের জানানো হয়নি।
গত শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার সাক্ষরিত একটি চিঠিসুত্রে জানা যায়, রবিবার (২৮ জানুয়ারি) জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে থাকার সম্ভাবনা থাকায় জেলার সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী প্রত্যাশা (আমেনা) প্রি ক্যাডেট স্কুল ও বটতলী সানরাইজ মডেল স্কুল খোলা রেখে পাঠদান করা হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রত্যাশা (আমেনা) প্রি ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক মোঃ নাজমুল হোসাইন বলেন, আগের ২ দিন শীতের জন্য বন্ধের নোটিশ পেয়েছিলাম। তখন বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু আজকেও যে পাঠদান বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ দিয়েছিল সেটা জানতে পারিনি। এজন্য পাঠদান চলছে।
সানরাইজ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আমাদের সরাসরি কোন তথ্য দেওয়া হয় না। আমাদের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তথ্য নিয়ে কাজ করতে হয়। সেজন্য অনেক সময় আমরা সঠিক তথ্য পাইনা। আজকেও আমরা হঠাৎ করে জানতে পারি আজকে পাঠদান বন্ধ থাকবে। তারপরও কিছু শিক্ষার্থী এসেছিল আমরা তাদের ফেরত দিয়েছি।
উপজেলা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, রবিবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকার সম্ভাবনার জন্য জেলা অফিস থেকে রবিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ নির্দেশ অমান্য করলে সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান শিক্ষকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজে থেকে আমাদের থেকে জেনে নেয়। কিন্তু কেজির শিক্ষকরা আমাদের সাথে যোগাযোগ না করার জন্য তাদের জানানো যায় না।
মোঃ আমানুল্লাহ আমান।
কোন মন্তব্য নেই