জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার সবচেয়ে বড় হোপপীর হাটে গরু, ছাগল, অটোভ্যান ও সাইকেল ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিয...
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার সবচেয়ে বড় হোপপীর হাটে গরু, ছাগল, অটোভ্যান ও সাইকেল ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা।
গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) হাটের দিন দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্যচিত্র পাওয়া গেছে।
সরকার নির্ধারিত টোল অনুযায়ী হাটে গরু প্রতি ৫০০ টাকা ছাগল প্রতি ২৬০ টাকা, অটোভ্যান ও সাইকেল প্রতি ১৬০ টাকা টোল আদায়ের নিয়ম রয়েছে। হাটে এ সংক্রান্ত একটি টোল চ্যাটের বিল বোডও ঝুলিয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।
তারপরেও ইজারাদাররা সুকৌশলে গরু ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতি রশিদ বা হাসিল ৬০০ টাকা আদায় করছেন। এতে ক্রেতাকে ৫৫০ টাকা ও বিক্রেতাকে ৫০ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। একইভাবে ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ে ক্রেতাকে ২৮০ টাকা বিক্রেতাকে ২০ টাকা, অটোভ্যানে ক্রেতাকে ২৫০ টাকা বিক্রেতাকে ২০০ টাকা, সাইকেলে ক্রেতাকে ২০০ টাকা বিক্রেতাকে ১০০ টাকা রশিদ বা হাসিল প্রতি পরিশোধ করতে হয়।
হাটে গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয় করতে আসা একাধিক ব্যক্তি এসব অনিয়মের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আহামেদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখানে গরুর জমা ৫০০ ও বকরির জমা ২৬০ টাকা নেই। হাটের জমার স্লিপে টাকার পরিমান উল্লেখ্য না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন পুরো জয়পুরহাটে এভাবেই টাকা তোলা হয় জমা স্লিপে টাকার উল্লেখ থাকেনা? গরুর জমা ৫৫০ এবং বকরির জমা ২৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে তাহলে এই অতিরিক্ত টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বকরির জমা ২৬০ টাকাই নেওয়া হয়। আর যারা জমা তোলে তারা ২০ টাকা লিখনি বাবদ নেয়। আমরা ২৬০ টাকা পাই। লিখনির টাকা বিক্রেতার থেকে কেন নিবেন এ এটা তো আপনাদের দেওয়ার কথা এসময় তিনি বলেন ওই একি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হোপপীর হাটের সাব ইজারাদার মোজাফফর হোসেনকে ফোন দিলে তিনি প্রশ্ন শুনে ফোনের লাইন কেটে দেন।
ইজারাদার মিলন দেওয়ানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে জয়পুরহাট, পাঁচবিবি ও হোপপীর হাটে যে আমরা যা টোল টা নেওয়া হয় সেটি সমন্বয় করেই টোল আদায় করা হয়। গরু প্রতি ৫০০ টাকা আমাদের আর ৫০ টাকা লেখনি বাবদ নেওয়া হয়। যারা বিক্রি করে তাদের কাছ থেকে লেখনির টাকা নেওয়া হয়। আপনি একদিন আমার সাথে নিরিবিলি বসেন আমি চ্যাট দিয়ে দিবো দেখে নিয়েন। আমি সামনের দিন গিয়ে বিষয়টি দেখব। কেউ বেশি নিলে শিথিল করে দেব।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাতুল আরা বলেন, এখন পর্যন্ত এবিষয়ে শুনিনি। তহসিলদারকে ওখানে পাঠিয়েছি। টোল আদায়ের চ্যাট ওখানে লাগানো আছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমানুল্লাহ আমান, ক্ষেতলাল প্রতিনিধি।
কোন মন্তব্য নেই