আমদানি বন্ধের অযুহাত একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৯০ টাকা। ৯০ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১...
আমদানি বন্ধের অযুহাত একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৯০ টাকা। ৯০ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছিলো ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। একদিনের ব্যবধানে বর্তমান তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বৃদ্ধি হতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মজিবর রহমান বলেন, গত পরশুদিন ৯০ টাকা কেজি হিসেবে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। আজ সেই পেঁয়াজ ১৮০ টাকা কেজি। একদিনের মধ্যে এভাবে দাম বাড়লে আমাদের মত সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হবে?
হিলি বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েকদিন আগে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজ তা ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আমদানি কারকদের নিকট বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি।
এবিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ভারত সরকার আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে ঐদেশের ব্যবসায়ীরা কোন প্রকার পেঁয়াজ এই বন্দরে পেঁয়াজ রপ্তানি করবেন না। এর কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা বর্তমান বাজারে দেশি পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আমদানি হয়নি। আর কিছুদিন যদি ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হতো তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকতো। আমি আশা করবো দুই দেশের সরকার আলোচনা করে আরও কিছু দিন পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রাখবেন।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।
কোন মন্তব্য নেই