'দেশব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন : তামাক কোম্পানি বেপরোয়া' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় জয়পুরহাট পৌরস...
'দেশব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন : তামাক কোম্পানি বেপরোয়া' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় জয়পুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে 'বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট' এবং 'উপমা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা'।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন 'উপমা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা'র নির্বাহী পরিচালক সুজন কুমার মণ্ডল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি সংস্থা 'এসো'র নির্বাহী পরিচালক মতিনুর রহমান মতিন, জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোস্তাকিম ফাররোখ, জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিউল বারী রাসেল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিন্টু,জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সহসভাপতি শাহাদুল ইসলাম সাজু, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাজাহান সিরাজ মিঠু, আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুল আলিম, হারুনুর রশীদ, আতাউর রহমান, রবিউল ইসলাম রুবেল, রাশেদুজ্জামান, শাহিদুল ইসলাম সবুজ, আল মামুন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে 'উপমা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা'র নির্বাহী পরিচালক সুজন কুমার মণ্ডল বলেন, ''সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। অথচ কোম্পানিগুলো সরকারের জনস্বাস্থ্য রক্ষার এই মহৎ উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অপচেষ্টার মূল উদ্দেশ্য দেশের তরুণ সমাজকে কোম্পানির দিকে আকৃষ্ট করা। তারা আইন ভঙ্গ করে বিজ্ঞাপন করার পাশাপাশি- প্রণোদনা, রেস্টুরেন্টে ধূমপানের স্থান তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের দূত নিয়োগ করছে।... তামাক ব্যবহার জনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ১৫ লক্ষাধিক মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছে। প্রতিবছর ৬১ হাজারের অধিক শিশু পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।... ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ক্যান্সার সোসাইটি কর্তৃক পরিচালিত গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে তামাক ব্যবহারজনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয় এবং কর্মক্ষমতা হ্রাসের কারণে সরকারের বাৎসরিক ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
সম্প্রতি দেশের ৫টি সিটি কর্পোরেশন, ১৬ টি জেলা এবং ৩২টি পৌরসভায় পরিচালিত জরিপে ২২ হাজার ৭২৩ টি বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার লঙ্ঘন চিহ্নিত করা হয়েছে।
তামাক কোম্পানি কোন ভাবেই রাষ্ট্রীয় আইনের উর্ধ্বে নয়। জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনশক্তিশালী করুন ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তামাক কোম্পানিগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ' অর্জন ত্বরান্বিত হবে। এজন্য তামাক কোম্পানির সব ধরনের অফতৎপরতা বন্ধ করা জরুরী।"
মো. আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই