টানা বৃষ্টিতে সরবরাহ কমের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে সবধরণের সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া নি¤...
টানা বৃষ্টিতে সরবরাহ কমের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে সবধরণের সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষেরা। তারা বলছেন বৃষ্টিতে একদিকে যেমন দৈনন্দিন আয়-রোজগার কমে গিয়েছে অপরদিকে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ।সবজি বিক্রেতারা বলছেন,গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সরবরাহ কমে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়,অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ২০ করে বৃদ্ধি পেয়েছে,সপ্তাহ ব্যবধানে বেগুণের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা দরে,পটল ৩০ টাকা থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা থেকে ২৫ টাক বেড়ে ৮৫ টাকা, কচুর বই ৬০ টাকা থেকে কেজিতে ২০ টাকা ৮০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৩০ টাকা থেকে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা ভ্যান চালক আসলাম মিয়া জানান,গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে লোকজন একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিনের যে আয় রোজগার তা একেবারে নেই বললেই চলে। একেতো আয় নেই অপর দিকে সবজির দাম বেড়েছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।
এদিকে সবজি বিক্রেতা শাহিন হোসেন বলেন, ইচ্ছে করে দাম বাড়ানো হয়নি। টানা কয়েক দিনের বৃৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।তাই পাইকারী বাজার থেকে বেশী দামে কিনে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে দিনাজপুর ভোন্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম জানান, নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।কেউ যদি ইচ্ছে করে দাম বৃদ্ধি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।
কোন মন্তব্য নেই