Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

প্রথম শ্রেণীর হলেও জয়পুরহাট রেলস্টেশনে বাড়েনি সেবার মান

ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত জয়পুরহাট রেলস্টেশন প্রথম শ্রেণী এবং উন্নতমানের ঘোষণা হলেও বাড়েনি যাত্রীসেবার মান। চাহিদার তুলনায় স্টেশনের জন্য ট্রেন...

ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত জয়পুরহাট রেলস্টেশন প্রথম শ্রেণী এবং উন্নতমানের ঘোষণা হলেও বাড়েনি যাত্রীসেবার মান। চাহিদার তুলনায় স্টেশনের জন্য ট্রেনের আসন সংখ্যা একেবারেই কম। সাধারণ যাত্রীদের জন্য স্টেশনে কোনো ওয়েটিং রুম নেই। ভিআইপিদের জন্য একটি রুম থাকলে সেটি বন্ধ থাকে। মাতৃদুগ্ধ কর্নার থেকেও না থাকার মতো। একটি মাত্র ওভারব্রিজ। সেটা দিয়ে ১ নম্বর প্লাটফর্মে যাওয়া যায়, কিন্তু ২ নম্বর প্লাটফর্মে যাওয়ার জন্য কোনো সিঁড়ির ব্যবস্থা নেই।

জয়পুরহাট রেলস্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম যাত্রীদের সমস্যা কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সাধারণ যাত্রীদের জন্য কোনো ওয়েটিং রুম নেই। তবে ভিআইপিদের জন্য একটি রুম আছে, সেটি এসি। তবে যাত্রীদের জন্য মাঝে মাঝে খুলে দেয়া হয়। আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং শেড নির্মাণে পাকশীর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার বরাবর একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সরকারি কাজ, দেরি হতে পারে।’

রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন এ স্টেশন থেকে গড়ে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়। এছাড়া যাত্রীরা অনলাইনেও অনেক টিকিট ক্রয় করে। যাত্রী সেবার মান বিবেচনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ২৫ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট দেয়।’

এ স্টেশন থেকে প্রতিদিন ঢাকার আন্তঃনগর ছয়টি ট্রেন ও অন্যান্য ট্রেনে খুলনা, রাজশাহী, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে হাজার হাজার যাত্রী। কিন্তু চাহিদার তুলনায় স্টেশনের জন্য ট্রেনের আসন সংখ্যা একেবারেই কম। ঢাকার ছয়টি ট্রেনের ২৭০টি আসন বরাদ্দ থাকলেও এর বিপরীতে টিকিট কাটে প্রায় ৫০০ যাত্রী। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের ট্রেনগুলোর আসন সংখ্যারও একই অবস্থা। ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে যাত্রী ও এলাকাবাসী।

আবদুল জলিল, কামরুল হাসান, রাজু, হুমায়ন, হাসিনা ও আফসানাসহ একাধিক যাত্রী জানান, ওয়েটিং রুম বন্ধ থাকে, মাতৃদুগ্ধ কর্নার নির্মাণের পর ভেঙে ব্যবহারের অযোগ্য হয়েছে। ১ নম্বর প্লাটফর্মে লোহার ছাউনিতে মরিচা ধরে নষ্ট হাওয়ায় একটু বৃষ্টিতে পানি পড়ে। প্লাটফর্মে অবস্থান এবং চলাফেরা করা কষ্টকর। ২ নম্বর প্লাটফর্ম নির্মাণের দীর্ঘদিন পার হলেও ওপরে ছাউনি নেই এবং প্লাটফর্ম উঁচু হওয়ায় সেখানে উঠতে সমস্যা হয় যাত্রীদের। তাদের দাবি, দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান করে যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে হবে।

মাশরেকুল আলম।

 

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place