স্ত্রী কাণ্ডে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার পর তার স্থলা...
স্ত্রী কাণ্ডে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার পর তার স্থলাভিষিক্ত হবেন খাগড়াছড়ির সিনিয়র সহকারী কমিশনার মনজুরুল আলম।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পির স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে খাগড়াছড়ির সিনিয়র সহকারী কমিশনার মনজুরুল আলমকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে পদায়নের জন্য রাজশাহী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়। পরে সেদিনই রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোছা. ফারজানা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মনজুরুল আলমকে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে বদলি করা হয়।
জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সালেহীন তানভীর গাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সেদিনের ওই ঘটনাটি (ইউএনওর স্ত্রী কাণ্ড) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছিল। পরে তাকে মন্ত্রণালয় থেকে ওএসডি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বদলি বা পদায়নকৃত কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে নিজ অধিক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে একই দিন (২৮ সেপ্টেম্বর) জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামকে ওএসডি (সিনিয়র সহকারী সচিব) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রশাসনের এই কর্মকর্তা গত চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর আক্কেলপুর ইউএনও পদে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। মাত্র ২৫ দিনের মাথায় স্ত্রী কাণ্ডে তিনি ওএসডি হলেন।
গত ২০১৯ সালে এই কর্মকর্তা দিনাজপুর সদর উপজেলার এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি) থাকার সময় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানহানি ও তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ওই ঘটনায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিল সেখানকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। ঘটনার পর তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি নওগাঁর ধামইরহাট ইউএনওর দায়িত্ব পান। এরপর তাকে আক্কেলপুরে বদলি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্ত্রীর অধিকার পেতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানে ওএসডি) মো. আরিফুল ইসলামের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন জিনাত আরা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জিনাত আরা খাতুন সন্তান নিয়ে ইউএনওর কার্যালয়ে যান। এ সময় তার পরিবারের লোকজন সঙ্গে ছিলেন। সেখানে হৈচৈ শুরু হয়। একপর্যায়ে ইউএনও জিনাতের মোবাইল কেড়ে নিয়ে আনসার সদস্যদের দিয়ে হেনস্তা করে বাইরে বের করে দেন। তখন জিনাত ইউএনওর কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে বাস থামিয়ে অনশন শুরু করেন। পরে কিছুক্ষণ ধীর গতিতে যান চলাচল করে। এ নিয়ে বেশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
জিনাত আরা খাতুনের দাবি, ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্টহাউসে তাদের বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে সন্তান হয়। আরেকটি সন্তান গর্ভেই নষ্ট করতে বাধ্য করেন ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম।
চম্পক কুমার।
কোন মন্তব্য নেই