জয়পুরহাটে মঞ্জিলা ওরফে মুরশিদা হত্যার দায়ে দীর্ঘ ২৩ বছর পর এক নারীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাঁদের প্রত্...
জয়পুরহাটে মঞ্জিলা ওরফে মুরশিদা হত্যার দায়ে দীর্ঘ ২৩ বছর পর এক নারীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বেলা ২ টার দিকে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ মো. নুর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের হাউস মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন (৬০), আতাউর রহমানের স্ত্রী মেরিনা বেগম (৫০) আতাউর রহমান (৬৫)।
জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আজরা সিধুইল গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর মেয়ে মঞ্জিলা ওরফে মুরশিদা। তাঁর সৎ মা আনোয়ারা বেগমের খালাতো ভাই ছিলেন আসামী আতাউর রহমান। মঞ্জিলা ওরফে মুরশিদার পিতা মোকছেদ আলী মারা যাওয়ার পর তাঁর জমিজমা ভাগ হয়। সে সময় মঞ্জিলা ওরফে মুরশিদার ভাগে পরে ১৮ হাজার টাকা। সেই টাকা আত্মসাতের জন্যে আতাউর রহমান কুট কৌশলের আশ্রয় নেন। তিনি মঞ্জিলাকে ভালো জায়গায় বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেন। এরপর গত ২০০০ সালের ১১ মে মঞ্জিলাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। তারপর আতাউর রহমান, তাঁর স্ত্রী মেরিনা, আব্দুল বারীক, হিরা ও আমজাদ হোসেন মিলে ওই বছরের ১২ মে মঞ্জিলাকে হত্যা করার গোপন বৈঠক করেন। এরপর ওই দিন বিকেল অনুমান ৪ টার দিকে তাঁরা মঞ্জিলাকে মারপিট করে হত্যা করেন। পরে আসামীরা মঞ্জিলার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে এ ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রচার করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মা খালেদা বেওয়া বাদী হয়ে গত ২০০০ সালের ১৪ মে পাঁচবিবি থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি ও যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে (আজ) বুধবার বেলা ২ টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
এ মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান।
মো. আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই