গত মঙ্গলবার বিকেলে জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় দলের নেতাকর্মী ও পুলিশসহ অন্তত ৪৪জন আহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বি...
গত মঙ্গলবার বিকেলে জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় দলের নেতাকর্মী ও পুলিশসহ অন্তত ৪৪জন আহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির ৮১জন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ায় পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই রুবেল বাদী হয়ে ৮১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং অজ্ঞাত নামা আরও ৪ থেকে ৫ শত জনকে আসামী করে মামলা করেছেন । এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিকেলে জয়পুরহাট কেন্দ্রিয় মসজিদ সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। সেখানে থেকে বিকেলে জেলা শহরে শান্তি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বিকেল পৌঁনে ৫টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আসছিলো মিছিলটি। একই সময় শহরের নতুনহাট থেকে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা করতে করতে তাঁদের দলীয় কার্যালয়ের দিকে ফিরে আসতে থাকেন। সে সময় তাঁরা সরকার বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকলে, উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রেলগেট এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন এবং বিএনপির উপর চড়াও হয়। এতে উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় দলের ছুঁড়ে মারা ইট-পাটকেলে পথচারীসহ আওয়ামী লীগের ১৫ জন, বিএনপির ২৫জন এবং ৪জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৪৪জন আহত হন। এরই একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিএনপির জেলা কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়। সে সময় ইফাত (২০) নামে একজন ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হন। এরপর তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের ৫ রাউন্ড গুলি ও ৫ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেন। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপরপরই পুরো শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মো. আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই