জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, আগামী তিন বছরে জয়পুরহাট জেলায় ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি...
জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, আগামী তিন বছরে জয়পুরহাট জেলায় ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এটি অনেকের কাছ দুঃস্বপ্ন মনে হলেও তা বাস্তবায়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাট শিল্পকলা একাডেমিতে বেকারমুক্ত স্মার্ট জয়পুরহাট গড়ার লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হুইপ স্বপন বলেন, অনেক নিরক্ষর মানুষ ছিলেন তারা কি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি, তারা কি এই দেশটাকে স্বাধীন করেননি, এই দেশটা কি পৃথিবীর বুকে ৩৫তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়নি, তাহলে আমাদের দেশটা আগামী ২০৩৭ সালের মধ্যে বিশ্বে ২০তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে না?
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯৮ মার্কিন ডলার। ২০০৮ সালেও আমাদের মাথা পিছু আয় ছিল মাত্র ৫৩৭ মার্কিন ডলার। আজকে ২০২৩ সালে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮৫০ মার্কিন ডলার। এক সময় দিনমজুরের সারাদিনের আয় ছিল মাত্র এক সের চাল আর দুটি টাকা আর একবেলা পান্তা ভাত। আজকে জয়পুরহাটের কোথাও ৭০০ টাকার নিচে কোনো দিনমজুর পাওয়া যায়?
হুইপ স্বপন আরও বলেন, আমাদের সোনার ছেলেরা আপনারা যারা আছেন, এখন আউটসোর্সিংয়ে এক্সপার্ট। আমরা আপনাদের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। আপনি আয় করছেন, আবার আপনার ভাই-বোন বা ইউনিয়নের একটি মানুষ যদি এই কাজ শিখতে পারেন তাহলে আপনার আয় কি কেড়ে নেবে? আপনার আয় কমে যাবে না। সুতরাং আপনি আমি সবাই মিলে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করবো এবং মানুষদের কাজ শেখাবো।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম আকন্দ, পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল শহিদ মুন্না, পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান, জেলার পাঁচ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত রহমান, বরমান হোসেন, তহমিনা আক্তার, নুসরাত জাহান বন্যা, জান্নাত আরা তিথী প্রমুখ।
এ পর্যন্ত জেলায় সরকারিভাবে দুই ধাপে ১০০০ জনকে আউটসোর্সিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেসরকারিভাবে অনেকেই আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
চম্পক কুমার।
কোন মন্তব্য নেই