জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাঁশখুর গ্রামে বিয়ের দাবিতে নুরনবী হোসেন নামের এক প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেছেন এক নারী। গতকাল সোমবার (২৭ ম...
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাঁশখুর গ্রামে বিয়ের দাবিতে নুরনবী হোসেন নামের এক প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেছেন এক নারী। গতকাল সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুর থেকে দিনভর এই অনশনে বসেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
ওই নারীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ নুরনবীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও করেন সে।
জানা গেছে, উপজেলার বড়পুকুরিয়া গ্রামের ওই নারীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাঁশখুর গ্রামের নুরনবীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এর আগে ভুক্তভোগী ওই নারী নুরনবীর বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছেন। সেই মামলায় নুরনবী কিছুদিন কারাবাসও করেছেন। জামিনে এসে নুরনবী পুনরায় ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এদিকে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীকে তালাক দেন তাঁর স্বামী।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, নুরনবী আমাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। এখন সে আমাকে রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নুরনবীর কারনে আমার সংসারও ভেঙেছে। আমি বাধ্য হয়ে নুরনবীর বাড়ীতে এসে অনশন করছি। সে যদি এখন আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুর থেকে ওই নারী নুরনবীর বাড়ীতে এসে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলার রক্ষার্থে আমি সেখানে যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশও সেখানে আসে। এদিকে বিষয়টি সমাধানের লক্ষে ছেলের পরিবারের সঙ্গে বসা হলে ছেলের পরিবার ওই নারীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে এখন কালক্ষেপণ করছেন। ওই নারী বর্তমানে ছেলের বাড়ীতে অবস্থান করছেন।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ জাহিদুল হক বলেন, ছেলের বাড়ি থেকে ৯৯৯ এ কল দিয়েছিলো, পুলিশ সেখানে গিয়েছিলো, তারপর তারা নিজেরদের মধ্যে মিমাংসা করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তারপর পুলিশ সদস্যরা চলে আসে, এখন কি অবস্থা এই বিষয়ে আমরা জানি না।
জনি সরকার।
কোন মন্তব্য নেই