স্টেডিয়ামের চারদিকে ফুটবলপ্রেমী দর্শক। স্টেডিয়ামের কোথাও ফাঁকা নেই। খেলা দেখতে কেউ আশপাশের বাসা-স্কুলের ছাদ, আবার কেউ গাছের মগডাল, টিনের চাল...
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের পাশে আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমির সঙ্গে পাঁচবিবির রাধানগর খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলা দেখতে হাজারো দর্শক ভিড় করেন। স্টেডিয়ামে জায়গা না পেয়ে অনেকে আশপাশের উঁচু জায়গায় বসেছিলেন। স্টেডিয়ামের উত্তর দিকে পাঁচবিবি সমিরণ নেছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ভবনের ছাদেও অনেকে চড়ে বসেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যালয়ের ওই ভবনের টিনের চালায় উঠে অন্তত ১৫০ জন বসে খেলা দেখছিলেন। খেলার ১৫ মিনিট পর হঠাৎ দর্শকের চাপে টিনের চালা ভেঙে নিচে পড়ে। এতে ২০-২৫ জন দর্শক আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বলেন, নিহত দর্শক ক্ষেতলাল উপজেলার সাখিদার পাড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে খোরশেদ বলে তাঁরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পাঁচবিবির বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল ইসলাম এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেন। কয়েক ধরে এলাকায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলার কথা মাইকিং করা হয়। শুক্রবার দূরদূরান্ত থেকে ফুটবলপ্রেমী পাঁচবিবি পৌর শহরে আসতে শুরু করেন। বেলা একটার পর থেকে পাঁচবিবি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের চারদিক দর্শকে ভরে যায়। বিকেল চারটায় প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল শহিদ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরমান হোসেন, পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান, খেলার আয়োজক মাছ ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
রবিউল ইসলাম রুবেল।
কোন মন্তব্য নেই