জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় প্রায় দেড় লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য রয়েছে মাত্র ১জন চিকিৎসক। এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার এক...
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় প্রায় দেড় লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য রয়েছে মাত্র ১জন চিকিৎসক। এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ঠিকানা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১১টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছে মাত্র ১ জন চিকিৎসক। অপরদিকে গত ১৪ বছর ধরে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার রয়েছে বন্ধ।
এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে উপজেলাবাসীকে উন্নত চিকিৎসা নিতে যেতে হয় জয়পুরহাট সদরসহ ও পাশের বগুড়া জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। জেলার আক্কেলপুর উপজেলার একটি পৌরসভাসহ পাঁচ ইউনিয়নের মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৭৫ সালে স্থাপিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার পর সেখানে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা ও অপারেশন কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। এরপর ২০০৮ সাল চিকিৎসক ও লোকবলের অভাবে ওই হাসপাতালের একমাত্র অপারেশন থিয়েটারটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ১৪ বছর অতিবাহিত হলেও আর চালু করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে অপারেশন থিয়েটার কক্ষটি ব্যবহার না করায় এর যন্ত্রপাতি অকেজো হওয়াসহ বৃষ্টির পানি ছাদ দিয়ে পড়ার কারণে বৈদ্যুতিক লাইনগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। বর্তমান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্স থাকলেও গাইনি ও সার্জারি চিকিৎসকের অভাবে জরুরি অপারেশনসহ অন্যান্য শল্য চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে গাইনি, মেডিসিন, শিশু, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিকস, সার্জারি, চর্ম ও যৌন, চক্ষু, নাক-কান ও গলা বিশেষজ্ঞসহ ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ থাকলেও রয়েছে মাত্র ১জন অ্যানেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বাকি সব পদগুলো শূন্য। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৮৫টি পদের মধ্যে রয়েছে ৫২ জন। হাসপাতালের বহির্বিভাগে ও অন্তঃবিভাগে চাহিদা অনুযায়ী রোগীদের মিলছে না ওষুধ। ফলে রোগীদের বাইরে থেকে কিনে চাহিদা মেটাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রুহুল আমিন বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১১টি পদের মধ্যে ১০টি পদই শূন্য। একজন গাইনি বিশেষজ্ঞকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, তিনি যোগদান না করে অন্যত্র চলে গেছেন। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মো. আবু মুসা।
কোন মন্তব্য নেই