জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আলোচিত কলেজছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে মৃত্যুর পরও তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে...
জয়পুরহাট আদলতের সরকারি কৌশলী (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, গত (৬ মে) রাত ১টার দিকে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীর বাড়ির দেওয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সুযোগ বুঝে ২টার দিকে রনি তার সহযোগি জাহিদকে নিয়ে ঘরে ভিতরে প্রবেশ করে এবং জোরপূর্বক ভিকটিমের পায়জামা খুলে বিবস্ত্র করে মুখ ও দুই হাত চেপে ধরে। প্রথমে রনি মহন্ত ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ সময় ভিকটিম তাঁর সম্ভ্রম রক্ষার জন্য চিৎকার করে বাধা দেয় এবং রনির বুকে খামচে ধরে। তখন আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আয়েশার গলা চেপে শ্বাসরোধ করে। এতে ভিকটিম বিছানায় নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে জাহিদ মৃতদেহে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এর আগে শনিবার (৭ মে) বেলা ১১টার দিকে পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামে নিজ ঘরের ভিতর বিবস্ত্র অবস্থায় আয়েশা সিদ্দিকা নামে অনার্স প্রথম বর্ষের এক কলেজছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় আয়েশা সিদ্দিকার বড়ভাই মোস্তাক হোসেন বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শংকর মহন্তের ছেলে রনি মহন্ত (৩০) ও এলাকার আয়মাপাড়া গ্রামের খোরশেদ মন্ডলের ছেলে কামিনি জাহিদ (৩২)।
আলোচিত কলেজছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে ধর্ষণের পর হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে রবিবার (৮ মে) দুপুরে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।
আল কারিয়া চৌধুরী।
কোন মন্তব্য নেই