জয়পুরহাটের কালাই ও পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে কিডনি বেচাকেনা দালাল চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে সং...
আজ শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা। গ্রেফতারকৃত দালাল চক্রের সদস্যরা হলেন, ১। মোঃ সাহারুল (৩৮), পিতা-মৃত সিরাজ, সাং-থল, থানা-কালাই, ২। মোঃ ফরহাদ হোসেন @ চপল (৩১), পিতা-মোঃ ফরিদুল ইসলাম, সাং-উলিপুর, থানা-কালাই, ৩। মোশাররফ হোসেন (৫৪), পিতা-মৃত মফিজ উদ্দিন, সাং-জয়পুর বহুতী, থানা-কালাই, ৪। মোঃ শাহারুল ইসলাম (৩৫), পিতা-মোঃ জাহান আলম, সাং ভেরেন্ডি, থানা-কালাই, ৫। মোঃ মোকাররম (৫৪), পিতা-মৃত মোবারক, সাং-জয়পুর বহুতী, থানা-কালাই, ৬। মোঃ সাইদুল ফকির (৪৫), পিতা-মৃত বছির উদ্দিন ফকির, সাং-দুর্গাপুর, থানা-কালাই, সর্ব জেলা-জয়পুরহাট এবং পাঁচবিবি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কিডনি চক্রের দালাল ৭। মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৪০), পিতা-মৃত আঃ সাত্তার, সাং-হানাইল বম্বু, থানা-জয়পুরহাট, বর্তমান সাং-গোড়না আবাসন, থানা-পাঁচবিবি, জেলা জয়পুরহাটদের গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ ভূয়া সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে জয়পুরহাটসহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার নিরীহ, ঋণগ্রস্ত ও দরিদ্র মানুষদের ফুসলিয়ে তাদের কিডনি বিক্রি করে আসছিলেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে কালাই ও পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা কিডনি বেচাকেনার সাথে জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে স্বীকার করেন।
কিডনি বেচাকেনা প্রতিরোধে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফারজানা হোসেন, সদর সার্কেল মোসফেকুর রহমান, পাঁচবিবি সার্কেল ইশতিয়াক আলমসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
এরশাদুল বারী তুষার।
কোন মন্তব্য নেই