ঈদগাহ মাঠ না থাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যেতে হয় তিন গ্রামের প্রায় দেড় হাজার লোকের। এ কারণে গ্রামের মানুষদের সুবি...
ঘটনাটি জয়পুরহাট জেলাধীন আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের। এতে খুশি ওই ইউনিয়নের চারদীঘি, ফুলবাড়ী ও রায়নগর গ্রামের লোকজন। রায়নগর গ্রামের আজাহার আলী নূরনগর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক।
সরোজমিন দেখা যায়, সোমবার বিকেলে ফসলি জমি থেকে চলছে কাঁচা ধান কাটার কাজ। কাঁচা ধান কাটার কারণ জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানান, তিন গ্রামে কোনো ঈদগাহ মাঠ নেই। ঈদের নামাজ পড়তে তাদের যেতে হয় ফসলিণ জমি পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে বা দূরের কোনো ঈদগাহ মাঠে। এ কারণে তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে স্থানীয় আজাহার আলী নামে এক সহকারী অধ্যাপক তাদের ১৭ শতাংশ ধান রোপণকৃত জমি ঈদগাহ মাঠ করার জন্য দিয়ে দেন। ঈদ আসন্ন হওয়ায় মাঠ প্রস্তুতের জন্য তারা ৮ শতাংশ জমির কাঁচা ধান কেটে ফেলেছেন। আপাতত এই ৮ শতাংশ জমির ওপর তারা ঈদের নামাজ পড়বেন। পরবর্তীতে তারা পুরো জায়গার উপরে ঈদগাহ মাঠের ব্যবস্থা করবেন। ঈদগাহ মাঠের জায়গা পেয়ে খুশি তিন গ্রামের লোকজন।
চারদীঘি গ্রামের রমজান আলী বলেন, আমাদের অনেক দিনের আশা ছিল আমাদের নিজ গ্রামে ইদগাহ মাঠ হবে। আশপাশের তিন গ্রামে কোনো ঈদগাহ মাঠ না থাকায় কষ্ট করে ঈদের নামাজ পড়তে অনেক দূরে যেতে হয়। আমাদের কষ্ট লাঘবের জন্য অধ্যাপক আমাদের জমি দিয়েছেন। আমরা গ্রামবাসীরা মিলে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য মাঠ প্রস্তুত করছি। আমরা খুব খুশি, কারণ এখন আমাদের নিজেদের গ্রামে ঈদগাহ মাঠ হচ্ছে।
সহকারী অধ্যাপক আজাহার আলী জনান, আশপাশের তিন গ্রামে কোনো ঈদগাহ মাঠ না থাকায় গ্রামবাসীরা আমার কাছে এসে ঈদগাহ মাঠ করার বিষয়ে জানালে আমি আমার নিজের জমি দিয়ে দেই। এতে গ্রামের মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
সাদমান হাফিজ শুভ।
কোন মন্তব্য নেই