জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি পাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে তাদেরকে গ্র...
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি পাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার বফলগাড়ি গ্রামের মৃত তমেজ আলীর ছেলে দুলু মিয়া ওরফে ডংকার (৬৪)। আরেকজন একই গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে নজমুল ওরফে কেরামত আলী (৪৫)।
থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামী দুলু মিয়া ওরফে ডংকার ও নজমুল ওরফে কেরামত আলী আক্কেলপুর উপজেলার গোলাম মোস্তফাসহ আরো অনেকের কাছে কিডনি কেনার প্রস্তাব দেন। তারা প্রথমে গ্রামের ডলার মাষ্টারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীমকে জানালে চেয়ারম্যান বিষয়টি কিডনি পাচার চক্রের সদস্য সন্দেহে ক্ষেতলাল থানা পুলিশকে ফোনে জানায়। ক্ষেতলাল থানা পুলিশ খবর পেয়ে মামুদপুর ইউনিয়ন হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদেরকে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ক্ষেতলাল থানায় আক্কেলপুর উপজেলার গোলাম মোস্তফা বিকেল ৩টায় ১৯৯৯ সালের মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন এর ১০ (১) তৎসহ ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
ক্ষেতলাল থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার ২ নং আসামী কেরামত আলী ৪ বছর পূর্বে কিডনি বিক্রি করেছেন। এখন অন্যদের কিডনি চক্রের সদস্য হিসেবে দালালের ভূমিকায় কাজ করছিলেন।
এস,এম শফিকুল ইসলাম।
কোন মন্তব্য নেই