দিনাজপুরের হাকিমপুরে গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ওই গৃহবধুর নাম নাসরিন (২১)। তিনি উপজেলার বড়ডাঙ্গা গ্রামের সুজন হোসেনের স্ত...
দিনাজপুরের হাকিমপুরে গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ওই গৃহবধুর নাম নাসরিন (২১)। তিনি উপজেলার বড়ডাঙ্গা গ্রামের সুজন হোসেনের স্ত্রী। তাদের ১ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
শনিবার (১ মে) সকাল ৭টার দিকে সুজনের বাড়ি থেকে নাসরিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বামীর দাবি নাসরিন আত্মহত্যা করেছে, তবে নাসরিনের বাবা জাহিদুল ইসলামের অভিযোগ, তার মেয়েকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছেন।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. স্বপ্না রানী দত্ত জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে ওই গৃহবধূকে তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় ডিউটিরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় একটি ফাঁসের দাগ ছিল, তবে তিনি কী ভাবে মারা গেছেন ময়না তদন্তের পর জানা যাবে।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান , পুলিশ খবর পেয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে নিজ নাসরিন ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম/ডেইলি জয়পুরহাট
কোন মন্তব্য নেই