Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

কালাইয়ে উন্নতমানের কৃষিযন্ত্র বিতরণ

জয়পুরহাটের কালাইয়ে ৫০ শতাংশ টাকা ভর্তুকিতে কৃষি উন্নয়ন সহায়তার (ভর্তুকির) আওতায় তিনজন কৃষককে ৫৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের দুটি কম্বাইন হারভে...

কালাই

জয়পুরহাটের কালাইয়ে ৫০ শতাংশ টাকা ভর্তুকিতে কৃষি উন্নয়ন সহায়তার (ভর্তুকির) আওতায় তিনজন কৃষককে ৫৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের দুটি কম্বাইন হারভেস্টার এবং একটি রিপার নামক উন্নতমানের কৃষিযন্ত্র প্রদান করা হয়েছে । কৃষি মন্ত্রনালয়ের পরিচালন বাজেটের আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতিতে উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি বিভাগ যন্তগুলো বিতরণ করেন।


ইউএনও মো. মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসব যন্ত্র সরবরাহ করা হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন। 


এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ছালজারুল আলম ও আরাফাত সুলতানা ফেরদৌসি, উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবানা আক্তার, জিন্দারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।


উদয়পুর ইউনিয়নের পুরগ্রামের কৃষক ফজলুল হক বলেন, এ উপজেলায় বোরো মৌসুমে ধান কাটার সময় প্রচুর শ্রমিক সংকট দেখা যায়। শ্রমিক সংকট থাকায় সঠিক সময়ে ধান কাটতে কৃষকদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এজন্য উন্নয়ন সহায়তায় (ভর্তুকি) আওতায় কম্বাইনড হারবেস্টার ক্রয় করেছি।

উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ছালজারুল আলম জানান, এ যন্ত্রগুলোর সাহায্যে দ্রুত ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করা যাবে। একটি কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় এক একর জমির ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দি করা সম্ভব। বস্তা সিস্টেমের কারণে ১২ ইঞ্চি কাদা ও কাদার উপরে ৬ ইঞ্চি পানি থাকলেও মেশিনটি ধান কাটতে ও চলতে পারে। এ যন্ত্রের মাধ্যমে কম খরচে বেশি ধান কাটা সম্ভব। তিনি কৃষিক্ষেত্রে এর বহুল ব্যবহার প্রত্যাশা করেন। 


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরন প্রকল্পের আওতায় ধান ফসল কর্তনে কম্বাইনড হারভেস্টার ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ৫০% ভর্তুকি মূল্যে ২টি কম্বাইনড হারভেস্টার ও ১টি রিপার বিতরণ করা হয়েছে।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান বলেন, প্রতি বছর জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে এ উপজেলার কৃষি ও কৃষকেরা। কিন্তু এ উপজেলায় রয়েছে কৃষি শ্রমিকের ব্যাপক সংকট। বিশেষ করে প্রতিবছর ধান লাগানো বা কাটার সময় বিপাকে পড়েন উপজেলার গৃহস্থ বা কৃষি জমির মালিকেরা। অন্য জেলা থেকে আসা শ্রমিকদের তিন বেলা খাবারসহ ৭শ' থেকে ৮'শ টাকায় প্রতিদিন হাজিরা দিয়ে কাজ করাতে হয়। আধুনিক যন্ত্র কম্বাইনড হারবেস্টার ঘন্টায় এক একর জমিতে ধান কাটতে সক্ষম। এতে কৃষকরা কম খরচে ধান কাটতে পারবেন এবং ভাড়ায় খাটাতে পারবেন।


মো. আতাউর রহমান/ডেইলি জয়পুরহাট


 

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place