Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

কালাইয়ে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে চারদিকে এখন ধান ক্ষেতে সবুজের সমারোহ। ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের ...



জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে চারদিকে এখন ধান ক্ষেতে সবুজের সমারোহ। ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা ও সোনালি শীষ। আর এই সবুজের ঢেউয়ে সোনালি শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে করে তুলেছে আরও বিকশিত, সেই সঙ্গে অনেক জমিতে দেখা যাচ্ছে সোনালি ধানের শীষ। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখায় কৃষকের চোখে-মুখে ফুটেছে হাসি।


কদিন পরেই সবুজ ধানগাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে ফসলের মাঠ। মাঠ ভরা ফসল দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে এবার ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।


জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে ধান উৎপাদনের দিক থেকে কালাই শীর্ষে রয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নে ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তার চেয়ে বেশি জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে।


ইতোমধ্যেই ইরি-বোরো ধানের সোনালি শীষ বের হয়েছে। কৃষকরা এই উপজেলায় কীটনাশকের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি পার্চিং (জমিতে ডাল-পালা পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা) পদ্ধতি প্রয়োগ করে সুফল পেতে শুরু করেছে। এজন্য এ বছর রোগ বালাই দেখা দিয়েছে কম। তবে কিছু কিছু জমিতে ধানে রোগ দেখা দিলে কৃষকরা কীটনাশক প্রয়োগ করায় সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কালাই পৌর এলাকার শিমুলতলী, আঁওড়া, পাঁচশিরা, থুপসাড়া, কাথাইল, দূরঞ্জ, সড়াইল। উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর, মহেশপুর, হাজিপুর। পুনট ইউনিয়নের বফলগাড়ি, ধাপ-শিকটা, জগডুম্বর, ভূগোল, মোহাইল, লকর, মাদাই, তিশরাপাড়া, পাঁচগ্রাম, জালাইগাড়ি, দেওগ্রাম। আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বোড়াই, নওপাড়া, হাতিয়র। মাত্রাই ইউনিয়নের সমশিরা, বেয়ালা। উদয়পুর ইউনিয়নের মুসলিমগঞ্জ, শান্তিনগর, কাশিপুর গ্রামের মাঠ ইরি-বোরো ধানের চাষাবাদে ভরে গেছে। ধানক্ষেতে ওষুধ প্রয়োগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। ইরি-বোরো ধান লাভ জনক ফসল। তাই কৃষকরা বোরো মৌসুমকে ঘিরেই নানা স্বপ্ন দেখে। এবছর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাষিরা ধান রোপণ করেছেন। যথা সময়ে সার, বালাইনাশক ও সেচ দিতে পারায় ধান গাছ হয়েছে ভালো।


স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত ইরি-বোরো ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। আর কয়েক দিন পরই ধান কাটা শুরু করা যাবে। এখন পর্যন্ত ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। এবছর বিদ্যুৎ ও সারের কোনো সংকট দেখা দেয়নি। যার কারণে ফসলের চেহারাও অনেক সুন্দর হয়েছে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তবে এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে। তবে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।


কালাই উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান জানান, এই উপজেলার কৃষকরা কীটনাশকের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে সুফল পেতে শুরু করেছে। এতে একদিকে কমেছে কৃষকের উৎপাদন খরচ অন্যদিকে ক্ষেতে রোগবালাই কম হওয়ায় বাম্পার ফলনের স্বপ্নে কৃষকের মুখে হাসি। ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আসছি। এ পর্যন্ত বোরো চাষে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে, পরবর্তী আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও কোনো প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে কালাই উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাব্বিউল হাসান রমি/ডেইলি জয়পুরহাট

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place