দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মাঠজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। আর মাঠেই দুলছে সোনালী স্বপ্ন। বাতাসে দোল খাচ্ছে বোরো ধানের সোনালী শীষ। আর ওই শীষেই স্...
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মাঠজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। আর মাঠেই দুলছে সোনালী স্বপ্ন। বাতাসে দোল খাচ্ছে বোরো ধানের সোনালী শীষ। আর ওই শীষেই স্বপ্ন দেখছেন হাজারো কৃষক।
প্রাকৃতিক দূর্যোগ কিংবা কোন বিপর্যয় না ঘটলে কৃষকের বাড়ির আঙিনা ভরে উঠবে সোনালী ধানের হাসিতে। বর্তমানে চলছে শেষ মূহুর্তের পরিচর্যা। ৮/১০ দিনের মধ্যেই ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে কৃষক-কৃষাণীরা।
উপজেলার ছাতনী গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, আমি ২ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো ফলন পাব। আশা করছি এবার দামও ভালো পাব।
ছাতনী গ্রামের নুর আমিন জানান, এবার আবাদে তেমন কোন রোগবালই হয়নি। ধান পাকতে শুরু করেছে। ৫/৭ দিন পরেই ধান কাটা শুরু করব। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও সময় মত কৃষি শ্রমিক পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৫শ’ ৩৩ হেক্টর জমি। সেখানে আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৩শ’ ৫৫ হেক্টর। যেটা লক্ষমাত্রার চেয়ে ৮শ” ২২ হেক্টর বেশী এবং উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ৩০ হাজার ২শ’ ৪৫ মেট্রিকট্রন। এ উপজেলায় ধান কাটা মাড়াইয়ের জন্য ৩ টি কম্বাইন হারভেষ্টার ও ৩০ রিপার মেশিন আছে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মোছা. মমতাজ সুলতানা জানান, ভালো ফলনের জন্য নিয়মিত ধান ক্ষেত তদারকি ও কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম/ডেইলি জয়পুরহাট
কোন মন্তব্য নেই