করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সাত দিনব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। একদিকে লকডাউন ও অন্যদিকে রমজান মাসে জয়পুরহাটের কালাই উপজেল...
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সাত দিনব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। একদিকে লকডাউন ও অন্যদিকে রমজান মাসে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় সকল প্রকার সবজির দাম বেড়েছে দ্বিগুণ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষরা। এদিকে চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, লকডাউনের আগে সবজির যা দাম ছিল, লকডাউনের তিন দিন পেরোতেই সরবরাহ কমের অজুহাতে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। তিন দিনের ব্যবধানে ৩০ টাকা কেজি দরের বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, ২০ টাকা কেজির শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, ৩০ টাকার পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, ২৫ টাকা কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, ১০ টাকা পিসের বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা ও ২০ টাকা হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা।
অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। চালের দাম এক লাফে প্রতি ২৫ কেজি বস্তায় বেড়েছে ১০০ টাকা। ১৩৫০ টাকার চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকা, ১১০ টাকা কেজি পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, ১৩০ টাকা কেজি সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, ২৭৫ টাকা কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৮৫ টাকা ও ৩০০ টাকা কেজি বস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা।
উপজেলার বরেন্দ্র ও ফিটিংস ব্যবসায়ী সুজন আহম্মেদ বলেন, পৃথিবীব্যাপী ধর্মীয় উপলক্ষ বা দেশীয় উৎসবের সময় জিনিসপত্রের দাম কমে। অনেকে বছরভর এ সময়টার জন্যই অপেক্ষা করে, অথচ ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ! এখানে সবরকম উৎসবের আগে পণ্যের দাম বাড়ে।
কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে আসা অটোভ্যান চালক তোজাম মিয়া বলেন, লকডাউনের কারনে আগের মতো রোজগার নেই। এদিকে বাজার করতে এসে দেখি সব জিনিসের দাম বেড়েছে। আমরা গরীব মানুষ দিন আনি, দিন খাই। এভাবে দাম বাড়লে আমরা পরিবার নিয়ে বাঁচবো কিভাবে! এখন আমাদের বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে।
কালাই পৌর এলাকার খুচরা সবজি ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন বলেন, লকডাউনের কারণে বাজারে সবজির সরবারহ কম। আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে। আমরা বাহিরের বাজার থেকে বেশি দামে কিনছি, এজন্য বাজারে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
উপজেলার পুনট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা বলেন, রমজান মাসে সবসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। তাছাড়া লকডাউনের কারণে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টুকটুক তালুকদার জানান, কেউ কোন ভাবে বেশি লাভের আশায় অসাধুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাব্বিউল হাসান রমি/ডেইলি জয়পুরহাট
কোন মন্তব্য নেই