শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের দূরন্ত পথ পাড়ি দিয়ে জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে দুমুঠো অন্ন জোগারের জন্য সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহা ...
শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের দূরন্ত পথ পাড়ি দিয়ে জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে দুমুঠো অন্ন জোগারের জন্য সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহা সড়কের দু-ধারের মাটির ভেতর থেকে এভাবেই ইটের খোয়া সংগ্রহ করছেন সত্তর উর্দ্ধো বয়সী অছিম উদ্দীন। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া কাচারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। দরিদ্র পরিবারে এক সময় ভ্যান রিকশা চালিয়ে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। একমাত্র অবলম্বন তার স্ত্রী সংসারের মায়া ত্যাগ করে যাওয়ার পর দু বেলা আহার প্রস্তুত এবং শেষ বয়সে দেখ ভালের জন্য স্বজন ও প্রতিবেশীদের পরামর্শে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। এরপর সেই স্ত্রীও সংসারে কিছুটা যোগান দিতে বানিয়াপাড়া কামিল মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য তিন বেলা রান্নার কাজ করলেও, করোনা মহামারীতে সেটিও বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু জীবন তো থেমে থাকার নয়। তাই নিরুপায় বৃদ্ধ অছিমদ্দীন এখন সংস্কার হওয়া রাস্তার ধার থেকে খোয়া সংগ্রহ করে তা বিক্রির টাকা দিয়েই চালাচ্ছেন তার অভাবের সংসারটি।
শাহিদুল ইসলাম সবুজ/ডেইলি জয়পুরহাট
কোন মন্তব্য নেই